ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১৮:১২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

নারীরা কখন চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঘর সামলানোর কাজকে অনেকে গোণায় ধরেন না। ভাবেন, রান্নাবান্না আর ঘর সাজানো— এ আর এমন কী কাজ! তবে বাস্তবতা ভিন্ন। সংসার সামলানো মোটেও সহজ নয়। অন্যদিকে চাকরি করাও নারীদের জন্য অতটা সহজ নয়। তবুও, বর্তমানে নারীদের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। যতই কষ্ট হোক, একসঙ্গে ঘর আর বাহির দুটোই সামলানোর চেষ্টা করছেন তারা। 

তবুও জীবনে মাঝেমধ্যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সংসার অথবা চাকরি— যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার অপশন আসে নারীদের সামনে। তখন তারা সংসারকেই বেছে নেন। কোন পরিস্থিতিতে একজন নারী পেশাগত জীবনের ইতি ঘটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে প্রাধান্য দেন? সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ভারতের ‘স্টেট ব্যঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার’ প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরুন্ধতী। চলুন জানা যাক তিনি কী বলেন- 

প্রথমত, মা হওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন অনেক নারীই। যদিও সন্তানকে ছোট থেকে বড় করে তোলার দায়িত্ব মা-বাবা দুজনেরই, তবুও সন্তানকে নিজের বুকে আগলে রাখতে চান মা। অরুন্ধতীর মতে, সন্তানকে কাছের মানুষের দায়িত্বে রাখতেও অনেকসময় মায়েরা ভরসা পান না। 

নিজের আদরের সন্তানকে ভালোবেসে, নিজের হাতে বড় করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেক নারী। কর্মক্ষেত্রে থাকলেও তাদের মন পড়ে থাকে ছোট্ট শিশুর কাছে। আর তাই নিজের ক্যারিয়ারের কথা না ভেবে, আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টি জলাঞ্জলি দিয়ে সন্তানকে বড় করে তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা। 

দ্বিতীয় পরিস্থিতি হলো, সন্তান যখন বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেয়। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। এ বিষয়ে ছেলেমেয়েরা যতটা না ভয়ে থাকে, তার চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন মায়েরা। এসময় প্রতি মুহূর্তে সন্তানের পাশে থাকার জন্য আকুল হয়ে পড়েন। কর্মক্ষেত্রে থাকলেও তাদের মন পড়ে থাকে সন্তানের পড়াশোনায়। 

প্রতি মুহূর্তে সন্তানকে সাহায্য করতে না পারার আক্ষেপও তৈরি হয় তাদের মাঝে। এই দোটানা থেকে নিজেদের বের করতে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অনেক নারী। তখন তাদের কাছে অর্থ আর স্বনির্ভরতার চেয়েও সন্তানের পরীক্ষা, পড়াশোনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। 

তৃতীয় যে পরিস্থিতিতে পড়লে নারীরা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, তা হলো বাবা-মা কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লে। বয়স হলে কাছের মানুষের প্রতি নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়। অন্যদিকে ছেলেমেয়েদেরও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যায়। নার্স কিংবা পেশাদার কোনো তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে অসুস্থ, বৃদ্ধ বাবা-মাকে রাখলেও মনের মধ্যে একটা অস্বস্তি চলতেই থাকে। তখন নিজেদের দোষী মনে হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাই নারীরা ক্যারিয়ারের কথা নানা ভেবে কাছের মানুষগুলোর জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের দেখাশোনার ভার তুলে নেন নিজের কাঁধে। 

এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্তা, কাজের পরিবেশ না থাকা, দাম্পত্য জীবনে অশান্তি, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি কারণেও নারীর চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।